বিগত কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন ধরনের কাজে Computer এর ব্যবহার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে মানুষ Computer কে অতীব প্রয়োজনীয়, উপকারী এবং শক্তিশালী Electronic Device বা Tools হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। এই জনপ্রিয় Electronic Device বা Tools এর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট আছে যা তাকে দিয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট।
১.স্বয়ংক্রিয় (Automatic): স্বয়ংক্রিয় বা Automatic বলতে সেই বস্তু বা Machine কে বুঝায় যা কোন মানব হস্তক্ষেপ ছাড়াই যেকোন কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম। Computer স্বয়ংক্রিয় বা Automatic কারন নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী একবার কাজ শুরু করলে শেষ পর্যন্ত কোন মানব হস্তক্ষেপে এর প্রয়োজন হয় না। এখানে কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, Computer স্বয়ংক্রিয় বা Automatic Machine হলেও তা কিন্তু নিজে থেকে স্বপ্রনোদিত হয়ে কোন সমস্যা খুজে বের করে নিজে থেকে সমাধান করে না। তাকে নির্দেশনা প্রদান করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে Computer এর বোধগম্য কোডের মাধ্যমে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়ে থাকে।
২.গতি (Speed): আধুনিক Computer গুলি অত্যন্ত উচ্চ গতি সম্পন্ন যন্ত্র বা Device। সাধারন মানুষ যে কাজ করতে দিন, মাস বা বছরের পর বছর সময় নিয়ে থাকে সে কাজগুলি যেন মূহুর্তের মধ্যে করতে পারে Computer সেভাবেই প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। মোদ্দা কথা একজন সাধারন মানুষ যে কাজ দিন-রাত মেহনত দিয়ে করে থাকে Computer সেই সকল কাজ মুহুর্তের মধ্যে করে ফেলে। Computer তার কাজের হিসেবগুলি মিলি সেকেন্ড, মাইক্রো সেকেন্ড, ন্যানো সেকেন্ড, পিকো সেকেন্ডে করে ফেলে। এমন কিছু Super Computer আছে যা, ট্রিলিয়ন-ট্রিলিয়ন গানিতিক বা যৌক্তিক কার্যাবলি কয়েক সেকেন্ড এ করে ফেলে।
৩.সঠিকতা (Accuracy): Computer গতিশীল, স্বয়ংক্রিয় এর পাশাপাশি সম্পূর্ন সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে। এর সঠিকতার ধাপগুলি উচ্চপর্যায়ের। তবে এটা নির্ভর করে তাকে কিভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে তার উপর। Computer এর যে ভুল হয় না, তা কিন্তু নয়। তবে এটা নির্ভর করে এতে প্রদানকৃত উপাত্তের উপর এবং কিভাবে এই উপাত্ত প্রদান করা হচ্ছে তার উপর।
৪.ক্লান্তিহীনতা (Diligence): মানুষের মতো ক্ষুধা, ঘুম, ক্লান্তি Computer কে স্পর্শ করে না। এটা অবিরতভাবে ঘন্টার পার ঘন্টা অথবা তারও বেশী সময় ধরে যেকোন কাজ নির্ভুলভাবে করতে পারে। কোন প্রকার বিরক্তি, বিরতি, বিভ্রান্তি Computer কে সম্পর্শ করে না। বিরতিহীনতার পাশাপাশি Computer রুটিন অনুযায়ী কাজ করে থাকে।
৫.বহুমুখীতা (Versatility): Computer এর একটি বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে এর বহুমুখী ব্যবহার অর্থাৎ Computer দিয়ে যেকোন সময়ে যেকোন কাজ করা সম্ভব আবার একটি কাজ চলমান থাকা অবস্থায় অন্য এক বা একধিক কাজ করা সম্ভব। যা Multitasking নামে পরিচিত।
৬.মনে রাখার ক্ষমতা (Power of Remembering): Computer এর মনে রাখার ক্ষমতা মানব মস্তিস্কের চেয়ে অনেক বেশী। মানব মস্তিস্কের ক্ষেত্রে যেটা হয়, তা হলো একজন মানব কে কিছু মনে রাখতে হলে অনেক সময় নিয়ে তা মুখস্ত করতে হয়ে, আবার তা মনে করতে গিয়ে দেখা যায় যে অনেক সময় লাগছে, কোন কোন ক্ষেত্রে যা মুখস্ত করেছে তা আংশিক মনে করতে পারেছে, কখনও পারছে না আবার কখনও একটি মনে করতে আর একটি মনে করে ফেলছে। কিন্তু Computer এর ক্ষেত্রে তা নয়, একবার Computer Memory তে যা জমা হয়ে থাকে তা বছরের পর বছর Computer মনে রাখে এবং প্রয়োজনে একদম সঠিকভাবে তা ব্যবহার করে থাকে। মানুষ চাইলে Computer Memory হতে উপাত্ত-তথ্য সরিয়ে ফেলতে পারে সেক্ষেত্রে Computer তা পুনরায় স্মরন করতে পারে না।
৭.কোন I.Q নাই: Computer কোন যাদুকরী যন্ত্র নয়। এর নিজস্ব কোন বুদ্ধি নাই। বাহির থেকে একে নির্দেশনা প্রদান করতে হয়। যেভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হয় ঠিক সেভাবে এটা কাজ করে থাকে। Computer কখনও নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে না। মানব প্রদত্ত নির্দেশনার ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল।
৮. অনুভুতিহীন (No feelings): Computer অনুভুতিহীন। সাধারন মানুষের মতো এর কোন আবেগ, হাসি, কান্না, স্বাদ, গন্ধের অনুভুতি নাই। Computer কে যেভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হয় সেভাবেই কর্ম সম্পাদিত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন