বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

মানব দেহ

 মানব দেহ হল একটি মানুষের পূর্ণাঙ্গ দেহ কাঠামো যা মাথা, ঘাড়, ধড় (যাতে অন্তর্ভুক্ত হলো বক্ষ এবং পেট), বাহু এবং হাত, পা এবং পায়ের পাতা। মানব দেহের প্রতিটি অংশই বিভিন্ন ধরনের কোষ দ্বারা গঠিত, যা জীবনের মৌলিক একক।[১]


পরিণত অবস্থায়, মানবদেহের কোষের সংখ্যা থাকে গড়ে প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন। এই সংখ্যাটিকে মানবদেহের অন্যতম উপাত্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং পরবর্তী ধাপের অন্যান্য হিসেবনিকেশের সূচনা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দেহের সকল অঙ্গের এবং সকল প্রকারের কোষের সংখ্যাকে যোগ করে এই সংখ্যাটি নির্ণয় করা হয়েছে।[২] মানব বেশ কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত যাদের মধ্যে অন্যতম হলো কার্বন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস। আশ্চর্যের কথা এই যে অন্যান্য মানবেতর প্রাণীর দেহগঠনের সঙ্গে মানুষের দেহ- গঠনের সাদৃশ্য অতি নিবিড়। সূক্ষ্ম থেকে স্থূল প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই সাদৃশ্য প্রকট। যেমন সমস্ত প্রাণীর মতো মানব দেহেরও মৌলিক একক সেই সেল বা কোষ। অসংখ্য কোষের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে টিসু বা কলা, কলার সমন্বয়ে তৈরী হয় অরগ্যান বা যন্ত্র, বিভিন্ন যন্ত্র একযোগে তৈরী করে সিস্টেম বা তন্ত্র আর একাধিক তন্ত্রের মিলিত রূপই দেহ। ব্যাপারটিকে এইভাবে দেখানো যায়- কোষ (Cell) > কলা (Tissue) > যন্ত্র (Organ) > তন্ত্র (System) > দেহ(Body)।[৩]


মানবদেহ নিয়ে অধ্যয়নের প্রধান দুটি শাখা হলো শারীরস্থান এবং শারীরবিদ্যা। মানব দেহে প্রায়শই কিছু অঙ্গসংস্থানিক ও রোগনির্ণয়-ভিত্তিক বৈচিত্র্য ও অনিয়মিত অস্বাভাবিকতা দেখা যায় যা শনাক্ত করার প্রয়োজন পড়ে। শারীরবিদ্যা দেহের অঙ্গতন্ত্রের এবং অঙ্গের কার্যপ্রণালির দিকে নজর দেয়। মানবদেহের বহু তন্ত্র ও কার্যপ্রণালি দৈহিক ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের জন্য পারস্পরিকভাবে সম্পর্ক তৈরি করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন